মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য “ভগবত গীতা Scholarship 2023” চালু হয়েছে

কারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন দেখে নিন।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now
Facebook Page Join Now

ভগবত গীতা Scholarship 2023 : প্রত্যেকের শিক্ষার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। শিক্ষা ছাড়া নতুন ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। শিক্ষা জীবনকে সহজ করে তোলে। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত শিক্ষার্থীরা শীঘ্রই কর্মজীবনে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এবং সমাজে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হতে পারে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পর শুরু হয় ছাত্র রাজনীতির নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার লড়াই। কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য যথেষ্ট অর্থের প্রয়োজন। আর্থিকভাবে এগিয়ে যাওয়া ধনী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষা বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। কিন্তু সকল ছেলে মেয়ের ভাগ্য সমান নয়।

এই আর্থিক অসুবিধার কারণে অনেকেই অর্ধেক পথ ছেড়ে দেন। দুই উচ্চ স্বতন্ত্র বৃত্তি (Scholarship 2023) চালু করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে পারফরম্যান্স বাড়ানোর চেষ্টা করে আর্থিক সংঘর্ষের বিরুদ্ধে নয়। এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে, সুবিধাবঞ্চিত উচ্চ-প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তাদের উচ্চ শিক্ষা শেষ করতে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হয়।

সরকারী এবং বেসরকারী বৃত্তি ছাড়াও, বেশ কয়েকটি দাতব্য সংস্থা প্রতিভাধর কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করার চেষ্টা করছে। আলোর দিশা কর্মযোগ মানবিক সংস্থা এমনই একটি দাতব্য সংস্থা। আলোর দিশা শিক্ষার্থীদের তাদের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে সহায়তা করার জন্য একটি অনন্য বৃত্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। ভগবত গীতা পুরষ্কার নামে একটি একেবারে নতুন পুরস্কার যোগ্য ছাত্রদের পড়াশোনার খরচ মেটাতে সাহায্য করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এখন জেনে নেওয়া যাক শ্রীমদ ভাগবত গীতা স্কলারশিপ (Scholarship) আসলে কি?

বাঁকুড়ায় আলোর দিশা কর্মযোগের হাত ধরেই এই শ্রীমদ ভাগবত গীতা স্কলারশিপ (Scholarship) প্রদান শুরু হয়েছে। দীন, দুঃস্থ মেধাবী ছাত্র- ছাত্রীদের উদ্দেশ্যেই এই স্কলারশিপ শুরু করেছে আলোর দিশা কর্মযোগ। ছাত্র- ছাত্রীরা যাতে নিজের স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে পারেন, সেই কারণেই বাঁকুড়ার আলোর দিশা কর্মযোগ সমাজসেবী সংগঠন কাজ শুরু করেছে।

এই স্কলারশিপ (Scholarship 2023) কাদের দেওয়া হবে? (Eligibility Criteria)

বাঁকুড়া জেলার যোগ্য অভাবী ছাত্র যারা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে নব্বই (90%) শতাংশ বা তার বেশি অর্জন করেছে তাদের এই বৃত্তির মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে। সারা বাঁকুড়া জেলা থেকে শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারে।

এই স্কলারশিপ (Scholarship) চালু হয় সাতজন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর হাতে স্কলারশিপের টাকা তুলে দেওয়ার মাধ্যমে। বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের মঞ্চে “আলোর দিশা” নামক সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিতি থেকে মোট সাতজন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে এই স্কলারশিপ তুলে দেন। বাঁকুড়া জেলায় এই প্রথম একটি সমাজসেবী সংগঠনের তরফে ভগবৎ গীতা স্কলারশিপ বা শ্রীমদ্ভাগবত গীতা স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হল।

এই বিষয়ে “আলোর দিশা” সমাজসেবী সংগঠনের সহ-সম্পাদক অভিজিৎ মন্ডল মহাশয় জানিয়েছেন, যে সকল ছাত্র- ছাত্রীরা এই স্কলারশিপ (Scholarship) পেলেন তাদের জীবনে সফলতা পাওয়া পর্যন্ত আলোর দিশা সমাজসেবী সংগঠন মানসিক ভাবে এবং আর্থিক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকবে। আলোর দিশা কর্মযোগ সংগঠনের উদ্দেশ্যই হল দীন মেধাবী ছাত্র- ছাত্রীদের সফলভাবে উচ্চ শিক্ষায় শিখিত করে মানুষের কল্যাণে তাদেরকে নিয়োজিত করা।

WhatsApp Channel Join Now
Telegram Group Join Now
Facebook Page Join Now

Back to top button